মুফতী তরিকুল ইসলাম মাজেদী

মুফতী তরিকুল ইসলাম মাজেদী

মুফতি তরিকুল ইসলাম মাজেদী। আত্মপ্রত্যয়ী এক স্বপ্নচারীর প্রতিচ্ছবি। জন্মেছেন মোমেনশাহী জেলার ত্রিশাল থানাধীন আউলটিয়া গ্রামের নিবৃত পল্লীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা- মুহা. আব্দুর রউফ মন্ডল, মাতা- মোসা, ফজিলা খাতুন-র কোল আলোকিত করে ১৯৯৩ ইং সালের ১লা অক্টোবর, এক রক্তরাঙা প্রভাতে আগমন করেন এই অবনীর বুকে। মমতাময়ী মায়ের কাছেই তার লেখা-পড়ার হাতে খড়ি। হিফজ শেষ করেছেন সেই খেলা-ধুলার বয়সেই। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়িজমান সুদূর রাজধানীর প্রান কেন্দ্র, এয়ারপোর্টের বাবুস সালাম। একে একে বেশ কটি ক্লাস অতিক্রম করে তালিমী মুরব্বীর পরামর্শে চলে আসেন বাড্ডার মিফতাহুল উলুমে। আর এখান থেকেই গ্রহন করছেন দাওরায়ে হাদীস তথা মাস্টার্সের সর্বোচ্চ ডিগ্রী। সেখান থেকে চলে আসেন উত্তরা দারুল উলুম মাহমুদিয়ায়, সম্পন্ন করেন উচ্চতর ফিকাহ ও হাদিস গবেষণা বিভাগ।
বতর্মানে তিনি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র উত্তরা ডিয়াবাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসা 'ডিয়াবাড়ি ঢাকা" নামে এক অনন্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
চেতনাদীপ্ত এই তরুণ ছোট থেকেই ডুবে থাকতেন ভাবনার অথৈ সমুদ্রে। তিনি ভাবতেন মাটি ও মানুষের কথা, দেশ ও জাতির কথা এবং ভাবতেন ধর্মীয় অবক্ষয়ের কথা। আর তাই বলেই তো তিনি ধর্মীয় অবক্ষয় রোধে প্রতিষ্ঠা করেছেন সামাজিক সেবামূলক সংগঠন আল-ইসলাহ খিদমাতুল উম্মাহ (ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশ"। এভাবেই তিনি হতাশার ঘোরে আশার আলো জ্বেলে হায়ে উঠেছেন যুব সমাজের বন্ধু ও সর্বজনের মধ্যমনি। তাইতো সেই পল্লীর আবাল বৃদ্ধা বনিতা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের আসাতিজাগনও যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এক দিগন্ত। দিগন্ত বিস্তৃত। আর তিনি সেই স্বপ্নের দিগন্তকেও ছোঁয়ে দিয়েছেন যোগ্যতা ও দক্ষতার বাস্তবতা দিয়ে। চলা-ফেরা, উঠা-বসা, কথা-বার্তা, চিন্তা-চেতনা এমনকি প্রতিটি কর্মেই প্রস্ফুটিত হয় তাঁর জীবন্ত প্রতিভা। স্বর্গীয় হাসিমাখা বুদ্ধিদীপ্ত চেহারাই তার জ্বলন্ত সাক্ষী।
তিনি বক্তৃতার ময়দানে যেমন তেজোদ্বীপ্ত ও অনলবর্ষী বক্তা তেমন লিখনীর ময়দানেও এক দক্ষ কলম যাদুগর। তথ্যের প্রাচুর্যতা ও ভাষার মাধুর্যতা দিয়ে সহজেই ঠাই করে নেন পাঠকের হৃদয় গহীনে। আসলেই তিনি একজন....... নাহ! থাক সব কথাই লিখতে নেই, আর এই ছোট কলেবরে কী-ই বা লিখবো। কিছু কথা নাহয় আগামীর কাছেই রেখে দেই, আগামী ই একদিন ব্যক্ত করবে আমার অব্যক্ত কথা মালা।
ও হ্যাঁ।। তিনি কিন্তু লিখে চলছেন সেই কৈশোর থেকেই। প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীতে। কিন্তু বই হিসেবে এটাই তার প্রথম তবে শেষ নয়।